মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০

যেভাবে পাহাড়ীদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে

পার্বত্য এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কম নির্মাণ করা হয়নি এবং এখনো নির্মাণ হচ্ছে.. অথচ এত টাকা খরচ করে পার্বত্য এলাকায় ভালো মানের প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে অনায়াসে পরিচালনা করা যেত..

 ভালো মানের শিক্ষার অভাব, দারিদ্র্যতা এসব কারণে দিনদিন মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে যখন অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়ে যাবে..তখন এসব কোটি কোটি টাকায় নির্মিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্ম করার মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা.. 

পৃথিবীর ইতিহাসে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে বৌদ্ধরা সর্ব প্রথম আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়) গড়ে তুলছিল। অথচ এখন আমাদের দেশে বড় বড় বিহারগুলো আশ্রম ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার বিপক্ষে। অথচ এমন বড় বড় বিহারগুলোতে শত শত ভিক্ষু পালনের সাথে সাথে অনায়াসে কয়েকশ ছোট ছোট বাচ্চার ভরণ পোষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা যেত।

একটি জাতির ঠিকে থাকার জন্য তার মেরুদণ্ড হচ্ছে সু-শিক্ষা আর অর্থনৈতিক মুক্তি..এই দুটি জিনিস যখন কোন জাতি থেকে অনেক দূরে সরে যায় তখন সেই জাতি আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

সম্প্রতি সময়ে ধর্মে কনভার্ট হওয়া কিছু হত দরিদ্র মানুষের ছবি ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে.. এতে নানা জনের নানা মত। চলছে একে অন্যকে দোষারোপ ইত্যাদি। যেখানে জাতির কর্ণধার মানুষগুলো অন্য ধর্মে কনভার্টেড সেখানে হত দরিদ্রদের দোষারোপ করে লাভ কি?

শিক্ষিত, ক্ষমতাবান, বিত্তবান তারাও তো সুবিধা লুপে নেওয়ার জন্য খ্রীষ্ট ধর্মে কম কনভার্ট হয়নি.. আজ যারা নানা ধর্মীয় সভায় বড় বড় লেকচার দেয় তারাতো গোপনে অনেক বছর আগেই কনভার্ট হয়ে গেছে..

আমরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য যেই পরিমান টাকা খরচ করি সেই টাকা দিয়ে আমাদের এতদিন উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হতো। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করলে আজকে পথে ঘাটে এত বেকার মানুষ আর চোখে পড়তো না...

পার্বত্য এলাকার শিক্ষিত তরুণদের নিজে কোনকিছু করতে না পারার অন্যতম কারণ ইংরেজীতে দূর্বলতা। ইংরেজীতে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দেশের বাংলা ভাষাভাষী কোটি কোটি মানুষের সাথে চাকরীর জন্য এত প্রতিযোগিতা করতে হতোনা... 

বর্তমান সময়ে ইংরেজীতে দক্ষ একজন তরুণ অনলাইনে কাজ করে অনায়াসে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে নিজেই নিজের অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারে। আন্তর্জাতিক ভাবে যোগাযোগ দক্ষতা বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক সুযোগ সুবিধা অনায়াসে পেতে পারে। অথচ বাংলা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য দেশের এক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন এক একটি বেকার তৈরির কারখানা।

আমরা নিজেদের কোটি কোটি টাকা খরচ করে আজকে যেই ধর্মীয় স্থাপনা গুলো নির্মাণ করছি সেগুলো কালের বিবর্তনে পর্যটন স্পট হয়ে যাবে এবং সেখান থেকে শাসকগোষ্ঠীরা কোটি কোটি টাকা উপার্জন করবে.. অথচ চাইলে আমরা ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডকে অনুসরণ করে নিজেদের ভাগ্য নিজেরা পরিবর্তন করে এক অন্যরকম ভাগ্য পরিবর্তন বিপ্লব করতে পারতাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যেভাবে পাহাড়ীদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে

পার্বত্য এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কম নির্মাণ করা হয়নি এবং এখনো নির্মাণ হচ্ছে.. অথচ এত টাকা খরচ করে পার্বত্য এলাকায় ভা...